টাঙ্গুয়ার হাওড়,৩ সেপ্টেমবর – Tanguar Haor
৳ 3,499
ভ্রমনের সম্ভাব্য স্থানসমুহ:
১) টাঙ্গুয়ার হাওড়
২) নিলাদ্রী লেক / শহীদ সিরাজ লেক
৩) বারিক্কা টিলা
৪) যাদুকাটা নদী
৫) ট্যাকের ঘাট
৬) দিগন্ত জুড়ে জেগে উঠা মেঘালয়ের পাহাড়
৭) শিমুল বাগান
৮) ওয়াচ টাওয়ার
অগ্রিম বুকিং মানিঃ ২০৪০ টাকা ।
আসন সংখ্যা: ২০ জন
Description
ইভেন্টঃ https://www.facebook.com/events/1635680419956189
রাত ১০টার বাসে সায়েদাবাদ থেকে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবো।
খুব সকালে আমরা সুনামগঞ্জ পৌছাবো। বাস থেকে নেমে বোটে অথবা পানসী রেস্টুরেন্টে নাস্তা করে ফেলবো তারপর দুই দিনের বাজার করে নৌকায় উঠে পরবো। নৌকা নিয়ে সরাসরি চলে যাবো হাওরের ওয়াচ টাওয়ারে। সেখানে পানিতে নেমে দাপাদাপি করবো ইচ্ছা মতো। তবে সবার জন্য লাইফ জ্যাকেট থাকবে যার প্রয়োজন ব্যবহার করতে পারবেন। গোসল শেষে দুপুরের খাবার খাবো হাওরের তাঁজা মাছ দিয়ে নৌকায় বসেই। তারপর চলে যাবো টেকেরঘাট। বিকালে দেখবো শহীদ সিরাজ / নীলাদ্রি লেক। রাতে খাবার শেষ করে নৌকার ছাদে বসে হাওরের বিশালতা উপভোগ করবো। (কোনো কারণ বিশেষ তাহেরপুর থেকেও নৌকা ছাড়া হতে পারে)
সকালে হাওরে ভেসে সূর্যোদয় দেখবো। নাস্তা করে আমরা চলে যাবো শিমুল বাগান, তারপরে যাবো যাদুকাটা নদী। নদীর শীতল পানিতে গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিবো। তারপর যাবো বারিক্কাটিলা, সেখান থেকে ভারত বাংলাদেশের সীমানা, মেঘালয়ের পাহাড় আর যাদুকাটা যদি দেখে বিকালে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দিব। সন্ধ্যায় যার যার মতো সুনামগঞ্জ শহরটা ঘুরে রাতের বসে ঢাকায় যাত্রা করবো ইনশাআল্লাহ।
খুব সকালে ঢাকায় থাকবো ইনশাআল্লাহ।
– ঢাকা – সুনামগঞ্জ – ঢাকা নন এসি বাস টিকিট
– ২ দিনের জন্য রিজার্ভ নৌকা
– মোট ৫ বেলা খাবার
– দক্ষ বাবুর্চি
– খাবারের মেন্যুতে থাকবে হাওরের তাজা মাছ/হাঁস/মুরগী সাথে ভর্তা ভাজি।
– লোকাল গাইড খরচ
– কোন প্রকার ব্যক্তিগত খরচ
– হাইওয়েতে খাবার
– ফেরার দিন রাতের খাবার
– ঔষুধ
– কোন প্রকার বীমা
– ভ্রমণের সময় যত কম জিনিস নেয়া যায়, যত কম কাপড় নেয়া যায় ততই আরামদায়ক হয় ভ্রমণ
– হাওরে গোসলের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়
– সানগ্লাস, হ্যাট, সান ক্রিম (যদি অতিরিক্ত ত্বক সচেতন হন)
– ব্রাশ ও পেস্ট
– প্রয়োজনীয় ঔষধ
– টর্চ লাইট
– ব্যাগের রেইন কভার (বৃষ্টি হলে)
– মোবাইলের রেইন কভার (বৃষ্টি হলেও ভিডিও ও ছবি তোলার জন্য)
– ক্যমেরা এবং এর এক্সট্রা ব্যাটারি
– চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক
১. সবাইকে ভ্রমন পিপাসু ও একজন সচেতন ভ্রমনকারী হতে হবে।
২. যেহেতু হাওর এলাকা তাই সাঁতার না জানলে লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
৩. ভ্রমনকালে যেকোন সমস্যা সবাই মিলেমিশে সমাধান করতে হবে।
৪. ভ্রমন সুন্দর ও আনন্দময় করার জন্য ট্যুর হোস্টকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে।
৫. আমরা সবাই ততক্ষন পর্যন্ত স্বাধীন যতক্ষন অন্যের স্বাধীনতায় ব্যাঘাত না ঘটে, সেটা মাথায় রাখতে হবে।
৬. প্রাকৃতিক সোন্দর্য রক্ষা করা ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষন করা আমাদের দায়ীত্ব, এই প্রকৃতির ক্ষতি হয় এমন কিছু করা যাবে না।
৭. কোনপ্রকার মাদক দ্রব্য বহন বা সেবন সম্পূর্ন ভাবে নিশিদ্ধ। কারো সাথে পাওয়া গেলে তাকে সাথে সাথে ট্যুর থেকে বহিস্কার করা হবে।
৮. ভ্রমনকালে কোন দূর্ঘটনায় পরলে তা সাবাই মিলে মোকাবেলা করতে হবে।
৯. কোন মেয়ে সদস্য কে কেই উত্যক্ত বা বিরক্ত করলে সাথে সাথে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
১০. ভ্রমনকালে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যেকোন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে, এক্ষেত্রে সাবার সাথে আলাচনা করে এডমিনের সিদ্ধান্তই চুরান্ত।
১১. ভ্রমনস্থানে কোনভাবেই স্থানীয়দের সাথে কোনপ্রকার খারাব আচরন করা যাবে না।
কোথায় যাচ্ছি?
আমরা যাচ্ছি টাঙ্গুয়ার হাওর যা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর এবং বড় হাওর গুলোর মধ্যে অন্যতম।
টাংগুয়ার হাওর বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্রুপ জলমহালগুলোর অন্যতম। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তেসুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা এবং তাহিরপুর উপজেলাস্থিত জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ মিঠা পানির এ হাওর বাংলাদেশের ২য় রামসার এলাকা। ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া, জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে সারি সারি হিজল-করচ শোভিত, পাখিদের কলকাকলি মুখরিত টাংগুয়ার হাওর মাছ, পাখি এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর এক বিশাল অভয়াশ্রম। বর্তমানে মোট জলমহাল সংখ্যা ৫১টি এবং মোট আয়তন ৬,৯১২.২০ একর। তবে নলখাগড়া বন, হিজল করচ বনসহ বর্ষাকালে সমগ্র হাওরটির আয়তন দাড়ায় প্রায় ২০.০০০ একর। টাংগুয়ার হাওর প্রকৃতির অকৃপণ দানে সমৃদ্ধ। এ হাওর শুধু একটি জলমহাল বা মাছ প্রতিপালন, সংরক্ষণ ও আহরণেরই স্থান নয়। এটি একটি মাদার ফিশারী। হিজল করচের দৃষ্টি নন্দন সারি এ হাওরকে করেছে মোহনীয়। এ ছাড়াও নলখাগড়া, দুধিলতা, নীল শাপলা, পানিফল, শোলা, হেলঞ্চা, শতমূলি, শীতলপাটি, স্বর্ণলতা, বনতুলসী ইত্যাদি সহ দু’শ প্রজাতিরও বেশী গাছগাছালী রয়েছে এ প্রতিবেশ অঞ্চলে। জেলা প্রশাসনের কার্যকর ও টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে বর্তমানে এ হাওরে রয়েছে ছোট বড় ১৪১ প্রজাতির ২০৮ প্রজাতির পাখি, ১ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ৩৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৬ প্রজাতির কচ্ছপ, ৭ প্রজাতির গিরগিটি এবং ২১ প্রজাতির সাপ।নলখাগড়া বন বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। শীত মৌসুমে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে ব্যাপক পাখির আগমন ও অবস্থানে মুখরিত হয় টাঙ্গুয়ার হাওর। বিলুপ্ত প্রায় প্যালাসেস ঈগল, বৃহদাকার গ্রে-কিংষ্টর্ক, শকুন এবং বিপুল সংখ্যক অতিথি পাখি ছিল টাঙ্গুয়ার হাওরের অবিস্মরণীয় দৃশ্য। স্থানীয় জাতের পাখি পানকৌড়ি, কালেম, বৈদর, ডাহুক নানা প্রকার বালিহাঁস, গাংচিল, বক, সারস প্রভৃতির সমাহারও বিস্ময়কর। সাধারণ হিসাবে বিগত শীত মৌসুমের প্রতিটিতে ২০/২৫ লক্ষ পাখি টাঙ্গুয়ার হাওরে ছিল বলে অনুমান করা হয়। কোন কোন স্থানে কিলোমিটারের বেশী এলাকা জুড়ে শুধু পাখিদের ভেসে থাকতে দেখা যায়। টাঙ্গুয়ার হাওর মাছ-পাখী এবং উদ্ভিদের পরস্পর নির্ভরশীল এক অনন্য ইকোসিস্টেম। মাছের অভয়াশ্রম হিসাবে এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশী।
Vendor Information
- Vendor: Taskin
- Address:
- No ratings found yet!
Reviews
There are no reviews yet.