ভ্রমণ সূচী
আমরা সবাই ৬ই অক্টোবর সকাল ৬.৫০ এর মধ্যে সদরঘাট থাকবো। ঠিক ৭ টায় লঞ্চ ছাড়বে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে। আমরা লঞ্চের ডেকে যাবো। এরপরে শুরু হবে আড্ডাবাজি , হয় হুল্লোড় আর গানের আসর। সকালের নাস্তাটা সেড়ে নিবো লঞ্চেই। চাঁদপুর এর উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছাড়ার পর আমাদের পোঁছাতে ১১টা বাজবে । লঞ্চ থেকে নেমে আমরা একটা চা বিরতি নিয়ে চলে যাবো চাদপুরের পর্যটন প্লেস ;হাসান আলীর মাঠ অঙ্গীকার ভাস্কর্য। এখান থেকে আমরা নৌকা নিয়ে আবার মেঘনার দোল খেতে চলে যাবো নদীর মাঝে। ফিরে এসে নদীতে দাপাদাপি-ঝাপাঝাপি করে আমরা চাঁদপুর শহরে ফিরবো দুপুরের খাবার খেতে। মনে রাখবেন যারা সাঁতার জানেন না তারা বেশি সাহসিকতা দেখতে গিয়ে ধরা খেলে বিচার হিসেবে সবাইকে মিষ্টি খাওয়াতে হবে কিন্তু। দুপুরের খাওয়া শেষে যাবো কালিবাড়ির বিখ্যাত ওয়ান মিনিট আইসক্রিম খেতে। এরপর হাতে সময় থাকলে গাছতলা ব্রিজ আর বড় স্টেশনেও সময় কাটিয়ে ঠিক ৫টার লঞ্চে আমরা ব্যাক করবো ঢাকা। সন্ধ্যার পরেই রাত শুরু হতে হতে শুরু হয়ে যাবে আমাদের ফিরতি আড্ডা এবং চা চক্র। আশা করি রাত ৯-১০ টার মধ্যে সদরঘাট পৌছে আমাদের ভ্রমণের সমাপ্তি হবে।
এই খরচের মধ্যে যা থাকছে
লঞ্চে যাওয়া আসা সহ চাদপুরের সকল যানবাহন খরচ। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, ওয়ান মিনিটের আইসক্রিম যাওয়া এবং আসার পথে দুটি চা বিরতি
যা পাবেন না উল্লেখিত বিষয়ের বাইরে যে কোন ব্যক্তিগত খরচ।
কি কি নিবেনঃ
১; সবার আগে প্রয়োজন ভ্রমনের জন্য সুন্দর একটি মন।
২; গোসল করার সামগ্রী (লুঙ্গি ও গামছা)
৩; মেয়েদের প্রয়োজনীয় কাপড় যা গোসল করতে প্রয়োজন।
৪; সাবান, শ্যাম্পু, গামছা, সানক্রিম।
৫. পাওয়ার ব্যাংক
কিছু নিয়ম মনে রাখবেন
ভ্রমন চলাকালীন যেকোন সমস্যা সকলে মিলে সমাধানের চেষ্টা করবেন। সকল নিয়ম কানুন অবশ্যই মেনে চলার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই অংশগ্রহন করবেন। অতিরিক্ত দু:সাহসিকতা দেখানো যাবেনা। পরিবেশ নষ্ট হয় অথবা অপচনশীল বস্তু ভ্রমন স্থানে ফেলে আসা যাবে না, নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। দলছাড়া হয়ে ঘুরা যাবে না। বিশেষ প্রয়োজনে দলকে জানিয়ে যাওয়া যেতে পারে। মহিলা ও অসুস্থদের অগ্রাধিকার দেওয়ার মন মানসিকতা থাকতে হবে। ধূমপান আড়ালে করতে হবে যাতে অধূমপায়ীদের কোন অসুবিধা না হয়। গাজা-মদ বা কোন মাদকের কোন সুযোগ নাই। ধরা পড়লে অপমান করে বিদায় করা হবে। কোন রকম অশালীন বা বিব্রতকর আচরণ করা যাবেনা। পারষ্পরিক সন্মান ও ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে।