বিয়ের যত অদ্ভুত ও মজার আচার-অনুষ্ঠান

বিয়ের যত অদ্ভুত ও মজার আচার-অনুষ্ঠান

জাতি, ধর্ম, বর্ণ আর সংস্কৃতিভেদে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় পার্থক্য দেখা যায়। এর অনেক কিছুই আপনার কাছে অনেক মজার, অদ্ভুত কিংবা বিদঘুটে লাগতে পারে। দেশে দেশে এমন বৈচিত্র্যময় বিয়ের সংস্কৃতির দেখা মেলে। এগুলো যার যার ইতিহাস আর ঐহিত্য বহন তুলে ধরে আমাদের কাছে। আরো আছে বিশ্বাস আর শুভ কিছু বয়ে আনার প্রয়াস। এখানে জেনে নিন এমনই কিছু বৈচিত্র্যপূর্ণ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার কথা। 

যেমন ধরুন ইন্দোনেশিয়ার কথা। সেখানে নববধূর পা মাটি ছুঁতে পারবে না। এ কারণে মেয়ে তার বাবার কোলে চড়ে বরের বাড়িতে যান। 

আবার বর্নিও’র কথাই ধরেন না কেন। সেখানে বর আর কনে একটানা ৩ দিন বাথরুমে প্রবেশ করেন না। ধারণা করা হয়, এই নিয়মটি পালন করলে দুজনের নতুন সংসারে সফলতা আসবে। 

প্যাসিফিক অঞ্চলের নিয়ম কিন্তু আরো অদ্ভুত। সেখানে হবু বউয়ের বাড়িতে পণ হিসাবে সুন্দর সুন্দর ইঁদুর পাঠানো হয়। কয়টা ইঁদুর যাবে তাও নির্ভর করে বউ কতটা সুন্দরী তার ওপর। 

চীনে অনেক সময়ই দুই পক্ষের বাবা-মায়েরা হবু জামাই-বউয়ের বাগদানের কাজ সেরে ফেলেন কাউকে না দেখিয়ে। এ আনুষ্ঠানিকতার পর দুজন দুজনকে দেখতে পারেন। 

গ্রিনল্যান্ডের বিয়ের একটা নিয়ম আপনার কাছে বিদঘুটে মনে হতে পারে। সেখানে স্বামীরা বাড়ির কর্তা। তার ক্ষমতার জানান দিতে হয় বউ ঘরে তোলার সময়ই। তখন বর তার নতুন বউয়ের চুল ধরে বাড়ির দিকে নিয়ে যান। 

আমাজনের নিয়ম শুনলে হাসবেন বা কাঁদবেন- তা আপনার ইচ্ছা। সেখানে বিয়ের এক সপ্তাহ আগে জামাইকে চোর হতে হয়। তিনি গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে মুরগি চুরি করে তার মাথা খান। এরপর সেই মুরগিগুলোর পা ফেলে দিয়ে আসেন হবু বউয়ের বিছানার পাশে। 

জার্মানিতে পোর্সালিনের থালাগুলো বউয়ের বাড়ির বাইরে ভাঙা হয় সু-ভাগ্য বয়ে আনার জন্য। 
সূত্র : দুবাই পোস্ট 

Leave a Reply